পরীর সাথে সহবাস❤️‍🔥



গল্প : পরীর সাথে সহবাস❤️‍🔥

পর্ব __০৩

যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পড়েননি পড়ে নিবেন।।

ওসব তাবিজ টাবিজ আমার কিছু করতে পারবেনা। তুমি কবিরাজের কাছে গেছো কবিরাজ তো আমার ব্যাপারে কিছু বলতেও পারলোনা, ও আমার ক্ষমতার বাহিরে।।

 পরীর মুখে কথাগুলো শুনে অবাক হয়ে বললাম। তুমি কিভাবে জানো। আমি কবিরাজের কাছে গিয়েছি।।

 আমার কথার জবাবে পরী বললেন, আমি তোমাকে নজরে রাজি৷ কবিরাজ আমার ব্যাপারে কিছু জানতে বা বলতে পারবেনা, তুমি হয়তো আমার সর্ম্পকে জানোনা।।  তোমাকে যে কবিরাজ তাবিজ দিয়েছে আমি ওর কানের মধ্যে এমন জোরে থা*প্প*ড় মে*রেছি যে ও সেই কানে আর শুনতে পারবেনা।। তুমি কাল ওর কাছে গেলে জানতে পারবা ওই কবিরাজ একটা কানে শুনতে পারছেনা।। তোমাকে বার বার একটা কথা বলছি এখনো বলি ভালোলাগে তোমাকে।। তোমার কাছ থেকে আমাকে কেউ ছাড়াতে পারবেনা৷ তুমি সুধু আমার ভালোবাসা, তোমাকে যে মেয়েটা ভালোবাসে আমি তাঁর অবস্থা ও খারাপ করে দিয়েছি ওকে এমন ভ*য় দেখিয়েছি যে সে কখনও ভুলতে পারবেনা।। 

কথাটা বলে সে রাতের জন্য চলে গেলেন পরী৷ ও চলে যাবার পর আমি চিন্তায় চিন্তায় ঘুমিয়ে পড়লাম।। 

 পরেরদিন সকাল বেলা জান্নাতকে ফোন দিলাম, কিন্তু ফোনটা রিসিভ করলো জান্নাতের মা, ওর মা ফোন রিসিভ করতেই আমি বললাম।। 

 আসছালামু আলাইকুম, আন্টি আমি নিশাদ, জান্নাত কই।। 

আমার কথার জবাবে ওনি বললেন। জান্নাতের তো অনেক জ্বর বাবা ও ঘুমিয়ে আছে।।

আন্টির কথায় ফোনটা রেখে চিন্তা করতে লাগলাম পরীর কথা৷। তাহলে পরীর কথায় ঠিক ও নিশ্চয়ই জান্নাতকে ভয় দেখিয়েছে ভয়ে হয়তো জান্নাতের জ্বর আসছে।।

জান্নাতের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ঐ কবিরাজের কি হবে যাইতো ওনার কাছ থেকে ঘুরে আসি।। 

কথামত রেডি হয়ে সেই কবিরাজের কাছে চলে গেলাম গতকাল যাঁর কাছে গিয়েছিলাম।। 

সেই কবিরাজের কাছে গিয়ে ওনি কিছু বলার আগে আমি বললাম। কিহহ কবিরাজ সাহেব পরীর থা*প্প*ড় কেমন খেলেন। কানে শুনতে পারেন তো।। 

আমার কথায় কবিরাজ অবাক হয়ে বললো। তুমি কিভাবে জানলে আমাকে পরী থা*প্প*ড় মে*রেছে।। 

 ওনার কথার জবাবে বললাম, পরী বলছিলো কালকে।।  আপনি তো বিশ্বাস করেননি পরী আমার বাস্তবে আসে।।  আপনি তো বলতেন স্বপ্নে আসে।। এখন বিশ্বাস হলো তো।।

আমার কথায় কবিরাজ মাথা নিচু করে বললেন হ্যাঁ বাবা আমি বুঝতে পারছি।। ঐ পরীর ক্ষমতা আমার থেকে অনেক উপরে।। আমি বলি কি তুমি তোমার মা বাবাকে বিষয়টা জানাও আর অন্য কোন হুজুর বা কবিরাজের কাছে যাও।।

 সেই কবিরাজের কথায় নিজের মধ্যে ভয়টা আরো বেরে গেলো।। 

মনের মধ্যে ভয় নিয়ে ওনাকে বললাম। আচ্ছা আপনার পরিচিত কোন হুজুর বা কবিরাজ আছে কি।। আমার কথায় ওনি বললেন, হ্যাঁ আছে একজন হুজুর আছে ওনি সেই মাপের বড় হুজুর না হলেও অনেক কিছু জানেন।। আমি ঠিকানা দিচ্ছি।। তুমি ওনার সাথে দেখা করতে পারো।।

 কবিরাজের কথামত ওনার কাছে ঠিকানা নিয়ে চলে গেলাম সেই হুজুরের বাড়িতে।। 

সেই হুজুরের কাছে যাবার পর ওনাকে বললাম আমাকে ঐ কবিরাজ পাঠিয়েছে ওনি আপনার কথা বললো।।

আমার কথায় হুজুর জিজ্ঞেস করলেন কি কারণে আসছো বলো।।

হুজুরের কথায় ওনাকে পুরু বিষয়টা খুঁলে বললাম।।

আমার কথায় হুজুর বললেন, তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে সেই পরী তোমাকে পছন্দ করে।। আরেকটা কথা জেনে রাখো পরী কিন্তু এমনি এমনি কারো সাথে শারীরিক সর্ম্পক করেনা কারণ ছাড়া।।

তুমি বাবা আমার কাছে আসছো কিন্তু আজ তুমি কিছুই জানতে পারবেনা।। তুমি কালকে আমার কাছে কষ্ট করে একবার এসো আমি আজকে খবর নিয়ে দেখি কিছু জানতে পারি কিনা৷। কালকে তোমাকে জানাবো যা কিছু জানতে পারি।।

হুজুরের কথামত বাড়িতে চলে গেলাম।।

বাড়িতে যাবার পর মা বললো।।

 কিরে বাবা কোথায় গিয়েছিলি তোকে এত চিন্তিত লাগছে কেনো? কিছু হইছে কি??

মায়ের কথায় আমি বললাম।। না মা কিছু হয়নি।। এমনি, খাবার দাওতো অনেক খিদে পেয়েছে।।

কথাটা বলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।। 

হঠাৎ কিছুদিন থেকে আমার সাথে অদ্ভুত রকম ঘটনা ঘটছে।। যেটা মা বাবাকে বলতেও লজ্জা লাগে।। জানিনা হঠাৎ আমার সাথে কেনো এসব ঘটতে শুরু হলো জানিনা এর শেষ পরিনতি কি।। হুজুরতো বললো কালকে কিছু জানাবে সেই আশাতে সেই দিনটা চলে গেলো।।

সেই রাতের কোন সমস্যা হলোনা৷।

 পরেরদিন সকালে জান্নাত ফোন করলেন।। ওর ফোন রিসিভ করতে ও বললো।।

নিশাদ তুমি কোথায়।।

 আমিতো বাসায় কেনো কোন সমস্যা কি তোমার শরী*ল এখন কেমন জ্বর কি কমেছে।।

জান্নাত" হ্যাঁ আমার জ্বর কমেছে আমাকে নিয়ে টেনশন করোনা৷। তুমি আজ কলেজে আসবানা। কলেজে আসো আমিও আসছি ওখানে কথা হবে।।

জান্নাতের কথায় ওকে বললাম।। আজ মনে হয় কলেজে যাওয়া হবেনা৷। তুমি কলেজ থেকে ফেরার সময় কল করো আমি একটা কাজে বাহিরে যাচ্ছি কাজ শেষে আমি তোমার সাথে দেখা করে নিবো।।

আমার কথায় রাজি হয়ে জান্নাত ফোন রেখে দিলেন।। 

এদিকে আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম সেই হুজুরের বাড়িতে।।

 হুজুরের বাড়িতে যাবার পর ওনি বললো ও তুমি আসছো বসো।।

হুজুরের কথায় বসে ওনাকে বললাম।। হুজুর কিছু জানতে পারছেন কি।।

আমার কথায় হুজুর বললেন।। দেখো বাবা তোমার কাছে যে পরী আসে আমার মনে হয় সে কোন সাধারণ পরী না৷।

আমার কাছে একটা ছাত্র জ্বীন থাকে ও আমার কাছে শিক্ষা নেয়।। আমি আমার সাথে থাকা ছাত্র জ্বীনকে দিয়ে তোমার ব্যাপরে খবর নিয়ে জানতে পারছি তোমার কাছে পরী এমনি এমনি আসেনা৷। তুমি হয়তো ভাবছো পরী তোমার সাথে সুধু শারীরিক সর্ম্পক করতে আসে তোমাকে পছন্দ করে সে জন্য আসে।। কিন্তু ও তোমার সাথে সুধু এসব করতে আসেনা এর পিছনে নিশ্চয়ই বড় কোন রহস্য আছে।। তোমাকে এক কথায় বলতে গেলে পরী ইচ্ছে করে তোমার কাছে আসেনি পরীকে তোমার কাছে পাঠানো হইছে।। 😲

কিহহহহ পরীকে আমার কাছে পাঠানো হইছে মানে।। কে পাঠিয়েছে।।

আমার কথায় হুজুর বললেন এত কিছু তো জানতে পারিনি বাবা।। আমার ছাত্র জ্বীন এখনো যুবগ ও বেশি কিছু খোঁজ নিতে পারেনি, ও বেশি কিছু খোঁজ করতে গেলে ঐ পরী ওকে মেরে ফেলবে।।

আমি যতটুকু জানতে পারছি তোমাকে জানালাম।।  আমার বিষয়টা অনেক জটিল মনে হচ্ছে তুমি তোমার মা বাবাকে বিষয়টা জানাও আর আমার থেকে বড় মাপের হুজুর বা কবিরাজ দেখাও।।

হুজুরের কথায় মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।।  পরীকে আমার কাছে কে পাঠালো, এর পিছনে আসল রহস্য কি৷। এর পিছনে কি আসল কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।।

হ্যাঁ এর পিছনে অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে আছে যা সামনে জানতে পারবেন অপেক্ষা করুন৷।

তাঁরপর____

Next_____

এই গল্পটা অন্য রকম ভয়ংকর রহস্যময় একটা গল্প হতে চলেছে। তাই পরের পর্ব পাওয়ার জন্য আইডিতে Follow দিয়ে রাখুন।।

Link--https://www.facebook.com/profile.php?id=61567822135085

Previous Post Next Post

Contact Form