টিচার আমার বান্ধবীর সাথে যা করল❤️‍🔥‼️



 ভার্সিটিতে ঢুকে ক্লাসের দরজা ধাক্কা দিবো এমন সময় ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলাম..

.

স্যার প্লিজ স্যার.ছেড়ে দিন আমায়.স্যার আমার ভবিষ্যৎ এই ভাবে ন*ষ্ট করবেন না স্যার.প্লিজ..

>আরে পাগলি তোর ভবিষ্যৎ তো আমি গড়ে দিবো রে..তুই একটু অপেক্ষা কর শুধু..দেখবি সব পরিক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট.

.

স্যার প্লিজ না স্যার.এভাবে সর্বনাশ করবেন নাহ..

>আরে চুপ..বেশি করলে পরের পরীক্ষাতেও ফেল করায়া দিবো কিন্তু..

.

আমি আর সহ্য করতে পারলাম নাহ..

দরজা ধাক্কা দিয়ে দিলাম..

ধাক্কা দিতেই স্যার নিজের প্ল্যান্ট পরে নিলো..আর মেয়েটা দৌড়...

.

.

এই তুই কে বে??সাহস কিভাবে হলো এইখানে আসার??

>আরে স্যার??ক্লাস এইটা আমার..

>ক্লাস শুরু আরো ৩ঘন্টা পরে..

>ও মা গো..স্যার আমার ঘড়ি নষ্ট আমি জানতাম ই নাহ. 

>যা ভাগ হারামি...

.

.

আমি চুপচাপ চলে আসলাম..

.

.

.

ঘড়িতে সময় ১০টা..

ভার্সিটির মোস্ট সিনিয়র রা..এসে হাজির..

গেটের সামনে দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে আয়ান..

.

প্রায় সব সিনিয়র দের চোখেই,জিনিশটা পড়তেছে..

কিন্তু আয়ান কিছুই মানতেছে নাহ..

.

অনেক্ষন ধরে শিমুল জিনিশটা লক্ষ্য করতেছে..

.

সে আয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়..

.

>কিরে সিনিয়রদের সম্মান দিতে হয় তুই জানিশ নাহ??

>কে সিনিয়র??

>ভাই কোন ইয়ার এ তুই??আগে তো দেখি নাই..

.

.

>আরে ভাই..সিগারেট আমি খাইতেছি আর জলতেছে তোর??মানে বুঝলাম নাহ..

>তোর কি আদব কায়দা নাই??

>নাম আয়ান..সাবজেক্ট ম্যাথম্যাটিকস.. ইয়ার ৪র্থ..

এতো দিন ক্লাস করি নাই.জাস্ট এক্সাম দিছি অনলাইনে..আর কোন ডিটেলস??

.

আয়ানের কথা শুনে শিমুল থ...

>কিন্তু তুই অনলাইনে কিভাবে এক্সাম দিলি??

>ভার্সিটি আমার বাপের তাই..

>কি??

>হে..

.

তুই ওই আব্বাসের ছেলে??

>হুম..আয়াত মুশতারিহ আয়ান..

.

আরে ভাই..কি বলবো তোকে..

তোকে দেখার কতো চেষ্টা করছি..কি ভাগ্য আমাদের..আমরা তো ভাবছি তুই কোন পল্টি মুরগী.. তাই বাসা থেকে বের হশ নাহ..

.

>হাহা..

তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সেখান থেকে উঠে যায় আয়ান..

সামনে অনেকেই পরে..

জানাজানি হয়ে যায়..আব্বাস স্যার এর ছেলে ভার্সিটিতে আসছে..

.

.

কালো চুল.চোখে চশমা..হাতে ঘড়ি..কালো শার্ট..ছেড়া জিন্সে মনে হচ্ছে ছবি করার জন্য নায়ক চলে আসছে..

.

আয়ান ভার্সিটিতে আসছে খবরটা প্রায় সবাই জানলেও কিছু সংখ্যাক লোক জানে নাহ তা..

.

আয়ান ভিতরের দিকে যেতেই কিছু ছেলে তাকে ডাক দেয়..

.

সম্ভবত ৩বর্ষের ছাত্র

.

এই,দিকে আয় তো..

>জি বলেন..

>ওই যে মেয়েটা দেখতেছিশ তাকে গিয়ে কিস করবি..

>কি??

>হে..

.

আয়ান সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে..

কেনো যেনো আয়ানের মেয়েটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হলো..

বিশেষ করে তার পাতলা ঠোটের গঠন দেখে..

.

আয়ান কিছু না বলে মেয়েটার কাছে যায়..

.

আমি আয়ান..

>তো??

>এই দিকে আসো..একটু কাজ আছে..

>কি কাজ??

.

>আসতে বলছি আসো..

.

আয়ানের সাথে মেয়েটি যায়..

.

এই,তোকে না কিস করতে বলছি??তুই ওকে এইখানে নিয়ে এলি কেনো??

আয়ান পকেট থেকে সিগারেট টা বের করে..মুখে দেয়..

.

এই,তোর সাহস তো কম নাহ..

>জুতা খুলো..

মেয়েটিকে বলে আয়ান..

>কি??

>জুতা খুলতে বলছি জুতা খুলো..

>মানে কি??

>খুলতে বলছি না তোকে??

মেয়েটি কেপে উঠে..কেপে জুতা হাতে নেয়..

.

মারো ওদের..ইচ্ছা মতো পিটাবা..

>মানে??

>যা বলছি করো..

>এই,তোর সাহস তো কম নাহ..আমাকে জুতা দিয়ে মারতে বলিশ??দেখছিশ আমরা কয়জন আছি??আমরা ধরলে পারবি তুই??

.

.

আয়ান হেসে দেয়..

>যারা গ্যাং নিয়ে চলে তাদের গ্যাংস্টার বলে..কিন্তু যারা আমি.. মনস্টার..

.

বলেই ধুপধাপ ঘুষি শুরু কিরে দেয়..

.

তার মার দেখে পুরো কলেজ সেখানে এসে জড় হয়..

.

অনেক মারার পরে কয়েকজন স্যার এসে তাকে আটকায়..

.

শালা রেগিং করার লোক আর জিনিশ পাশ না..মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলবি তো খেয়ে ফেলবো একেবারে..

..

.

আয়ানের বাবা এইগুলো শুনে তাকে অফিসে ডাকে..

.

আয়ান সামনে গিয়ে দাঁড়ায়..

.

আয়ানের বাবা কিছু বলতে যাবে এমন,সময় খবর আসে কলেজের বিল্ডিং এর উপরে একটা স্যারের লাশ পাওয়া গেছে..

.

আব্বাস স্যার আর আয়ান সেখানে যায়..

সেখানে গিয়ে দেখে যেখানে পতাকা টানানো থাকে সেখানে লাশ ঝুলছে স্যার এর..

.

তাও উলংগ অবস্থা.. 

.

আবার লিংগ নেই..

.

এমন দৃশ্য দেখে সবাই অবাক..

পুলিশকে খবর দেয়..

পুলিশ এসেও বুঝতে পারে না এমন নির্মম ভাবে কে মারলো স্যারকে??

.

.

আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো স্যারটি আর কেউ না সকালে যে মেয়েটিকে জোড় করতেছিলো এই স্যার টি সেই..

.

.

চলবে..

.

.


Previous Post Next Post

Contact Form