ভার্সিটিতে ঢুকে ক্লাসের দরজা ধাক্কা দিবো এমন সময় ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলাম..
.
স্যার প্লিজ স্যার.ছেড়ে দিন আমায়.স্যার আমার ভবিষ্যৎ এই ভাবে ন*ষ্ট করবেন না স্যার.প্লিজ..
>আরে পাগলি তোর ভবিষ্যৎ তো আমি গড়ে দিবো রে..তুই একটু অপেক্ষা কর শুধু..দেখবি সব পরিক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট.
.
স্যার প্লিজ না স্যার.এভাবে সর্বনাশ করবেন নাহ..
>আরে চুপ..বেশি করলে পরের পরীক্ষাতেও ফেল করায়া দিবো কিন্তু..
.
আমি আর সহ্য করতে পারলাম নাহ..
দরজা ধাক্কা দিয়ে দিলাম..
ধাক্কা দিতেই স্যার নিজের প্ল্যান্ট পরে নিলো..আর মেয়েটা দৌড়...
.
.
এই তুই কে বে??সাহস কিভাবে হলো এইখানে আসার??
>আরে স্যার??ক্লাস এইটা আমার..
>ক্লাস শুরু আরো ৩ঘন্টা পরে..
>ও মা গো..স্যার আমার ঘড়ি নষ্ট আমি জানতাম ই নাহ.
>যা ভাগ হারামি...
.
.
আমি চুপচাপ চলে আসলাম..
.
.
.
ঘড়িতে সময় ১০টা..
ভার্সিটির মোস্ট সিনিয়র রা..এসে হাজির..
গেটের সামনে দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে আয়ান..
.
প্রায় সব সিনিয়র দের চোখেই,জিনিশটা পড়তেছে..
কিন্তু আয়ান কিছুই মানতেছে নাহ..
.
অনেক্ষন ধরে শিমুল জিনিশটা লক্ষ্য করতেছে..
.
সে আয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়..
.
>কিরে সিনিয়রদের সম্মান দিতে হয় তুই জানিশ নাহ??
>কে সিনিয়র??
>ভাই কোন ইয়ার এ তুই??আগে তো দেখি নাই..
.
.
>আরে ভাই..সিগারেট আমি খাইতেছি আর জলতেছে তোর??মানে বুঝলাম নাহ..
>তোর কি আদব কায়দা নাই??
>নাম আয়ান..সাবজেক্ট ম্যাথম্যাটিকস.. ইয়ার ৪র্থ..
এতো দিন ক্লাস করি নাই.জাস্ট এক্সাম দিছি অনলাইনে..আর কোন ডিটেলস??
.
আয়ানের কথা শুনে শিমুল থ...
>কিন্তু তুই অনলাইনে কিভাবে এক্সাম দিলি??
>ভার্সিটি আমার বাপের তাই..
>কি??
>হে..
.
তুই ওই আব্বাসের ছেলে??
>হুম..আয়াত মুশতারিহ আয়ান..
.
আরে ভাই..কি বলবো তোকে..
তোকে দেখার কতো চেষ্টা করছি..কি ভাগ্য আমাদের..আমরা তো ভাবছি তুই কোন পল্টি মুরগী.. তাই বাসা থেকে বের হশ নাহ..
.
>হাহা..
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সেখান থেকে উঠে যায় আয়ান..
সামনে অনেকেই পরে..
জানাজানি হয়ে যায়..আব্বাস স্যার এর ছেলে ভার্সিটিতে আসছে..
.
.
কালো চুল.চোখে চশমা..হাতে ঘড়ি..কালো শার্ট..ছেড়া জিন্সে মনে হচ্ছে ছবি করার জন্য নায়ক চলে আসছে..
.
আয়ান ভার্সিটিতে আসছে খবরটা প্রায় সবাই জানলেও কিছু সংখ্যাক লোক জানে নাহ তা..
.
আয়ান ভিতরের দিকে যেতেই কিছু ছেলে তাকে ডাক দেয়..
.
সম্ভবত ৩বর্ষের ছাত্র
.
এই,দিকে আয় তো..
>জি বলেন..
>ওই যে মেয়েটা দেখতেছিশ তাকে গিয়ে কিস করবি..
>কি??
>হে..
.
আয়ান সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে..
কেনো যেনো আয়ানের মেয়েটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হলো..
বিশেষ করে তার পাতলা ঠোটের গঠন দেখে..
.
আয়ান কিছু না বলে মেয়েটার কাছে যায়..
.
আমি আয়ান..
>তো??
>এই দিকে আসো..একটু কাজ আছে..
>কি কাজ??
.
>আসতে বলছি আসো..
.
আয়ানের সাথে মেয়েটি যায়..
.
এই,তোকে না কিস করতে বলছি??তুই ওকে এইখানে নিয়ে এলি কেনো??
আয়ান পকেট থেকে সিগারেট টা বের করে..মুখে দেয়..
.
এই,তোর সাহস তো কম নাহ..
>জুতা খুলো..
মেয়েটিকে বলে আয়ান..
>কি??
>জুতা খুলতে বলছি জুতা খুলো..
>মানে কি??
>খুলতে বলছি না তোকে??
মেয়েটি কেপে উঠে..কেপে জুতা হাতে নেয়..
.
মারো ওদের..ইচ্ছা মতো পিটাবা..
>মানে??
>যা বলছি করো..
>এই,তোর সাহস তো কম নাহ..আমাকে জুতা দিয়ে মারতে বলিশ??দেখছিশ আমরা কয়জন আছি??আমরা ধরলে পারবি তুই??
.
.
আয়ান হেসে দেয়..
>যারা গ্যাং নিয়ে চলে তাদের গ্যাংস্টার বলে..কিন্তু যারা আমি.. মনস্টার..
.
বলেই ধুপধাপ ঘুষি শুরু কিরে দেয়..
.
তার মার দেখে পুরো কলেজ সেখানে এসে জড় হয়..
.
অনেক মারার পরে কয়েকজন স্যার এসে তাকে আটকায়..
.
শালা রেগিং করার লোক আর জিনিশ পাশ না..মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলবি তো খেয়ে ফেলবো একেবারে..
..
.
আয়ানের বাবা এইগুলো শুনে তাকে অফিসে ডাকে..
.
আয়ান সামনে গিয়ে দাঁড়ায়..
.
আয়ানের বাবা কিছু বলতে যাবে এমন,সময় খবর আসে কলেজের বিল্ডিং এর উপরে একটা স্যারের লাশ পাওয়া গেছে..
.
আব্বাস স্যার আর আয়ান সেখানে যায়..
সেখানে গিয়ে দেখে যেখানে পতাকা টানানো থাকে সেখানে লাশ ঝুলছে স্যার এর..
.
তাও উলংগ অবস্থা..
.
আবার লিংগ নেই..
.
এমন দৃশ্য দেখে সবাই অবাক..
পুলিশকে খবর দেয়..
পুলিশ এসেও বুঝতে পারে না এমন নির্মম ভাবে কে মারলো স্যারকে??
.
.
আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো স্যারটি আর কেউ না সকালে যে মেয়েটিকে জোড় করতেছিলো এই স্যার টি সেই..
.
.
চলবে..
.
.