কালো শরীরের সাথে একবার শা/রী/রিক সম্পর্ক করবো তা ও এতো দাম। সেটাও আবার এক রাতের জন্যে ২ হাজার টাকা।....
হ্যা আমার একটু দাম বেশি? আপনার যদি ইচ্ছে হয় নিয়ে যেতে পারেন।
ঠিক আছে আমি রাজি তবে একটি শর্ত আছে?
কি শর্ত বলুন? আমি সব কিছুতেই রাজি আছি কোন সমস্যা নেই।
শর্তটি হলো আমি যা যা বলবো তাই তাই করতে হবে। কোন কিছুতেই না করা যাবে না। ...
ঠিক আছে? চলেন এখন আপনার বাসায়।
তো এর পরে নিবির শুভার সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসে।
নিবির :- মা ও মা বাহিরে আসো দেখো কাকে নিয়ে এসেছি।....
ছেলের ডাক শুনেই মা বাহিরে চলে আসে। এসেই দেখে যে একটি মেয়ে বউ সেজে আছে।...
মা :- নিবির কে এই মেয়ে বাবা! আর বউ সেজেই বা কেনো আছ?
নিবির :- মা ওর নাম হলো শুভা! আমরা দুজন দুজন কে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। এই শুভা মাকে সালাম করো।
যেইনা শুভা সালাম করতে যাবে ঠিক তখনি নিবিরের মা ঠাসসস! করে একটি থাপ্পড় দেয় নিবির কে।
মা :- ছি....ছিহ্... নিবির তোর লজ্জা করেনা এমন কালো কুট কুটে একটি মেয়েকে বিয়ে করে আনলি????
নিবির :- মা আমরা দুজন দুজন কে ভালোবাসি।
মা :- তোর মতো একটি স্মার্ট ছেলের চয়েজ এতোটা খারাপ আর যর্ঘন্য? তুই আমাদের মান সন্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিলি।
নিবির :- ভালোবাসা কি রুপ দেখে হয় মা?
মা :- ভালোবেসে বিয়ে করবি ঠিক আছে। তাই বলে এই কালো মেয়েটা।
নিবির :- আমার ওকেই ভালো লেগেছে তাই বিয়ে করেছি। তুমি তো সংসার করবা না আমি করবো। তবে তোমার সমস্যা কি।
মা :- এতো কথা বলতে পারবো না। তুই এই মেয়েকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছিস ঠিক ওখানেই রেখে আয়।....
এমন চিল্লাচিল্লি শুনে বাসার সবাই সেখানে চলে আসে। এসেই তো মাথা নষ্ট সবার।
নিবির :- যদি চলেই যেতে হয় ওকে নিয়ে আমি সহ চলে যাবো।
ভাইয়া তুই কোথায় যাবি। আর কালো মেয়েটা কে। ( নিবেরের বোন কথা)
নিবির :- তোর ভাবি হয়????
কথা :- হাহহাহা হাহহাআহ! মজা করোস আমার সাথে তুই। এই কাইল্লা মেয়ে তোর বউ।
নিবির :- হুমম। কেনো সমস্যা আছে কি?
কথা :- এর থেকে তো আমাদের বাসার কাজের বুয়াও সুন্দর আছে। ওকেই তো বিয়ে করতে পাইতি।
নিবির :- অনেক হয়েছে "কথা" চুপ কর এখন। মা তুমি কি আমাকে ভিতরে আসতে দিবা নাকি চলে যাবো?
বেশ কিছুক্ষন পরে নিবিরের মা বলে উঠে।
মা :- আয় ভিতরে আয়। শোন কাল আমাদের বাসায় কিছু মেহমান আসবে। তোর এই রুপোর বউ যেনো রুম থেকে বাহিরে না আসে।
নিবির :- ঠিক আছে আসবে না ।
মা :- যা তোর রুমে যা
কথাটি শুনার সাথে সাথেই নিবির শুভাকে নিয়ে তার রুমে চলে যায়। আর এই সব কাহিনী দেখে "কথা" মাকে বলে উঠে।
কথা :- ছি...মা ,, তুমি মেনে নিলে ভাইয়া কে। এই মেয়ের জন্যে তো বাহিরে আমি নিজেই মুখ দেখাইতে পারবো না।
মা :- চিন্তা করিশ না। কালকের দিনটায় আগে মেহমান চলে যাকে। তার পরে দেখ আমি কি করি।
কথা :- যে কোন ভাবেই হোক এই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করতে হবে। তুমি একটি জিনিস লক্ষ করেছো আমাদের কাজের মেয়েটাও কতো সুন্দর ।
মা :- চুপ থাক আজ। কাল দেখা যাবে?
এই দিকে শুভা নিবিরের সাথে রুম এসেই কান্না করতে থাকে। কান্না করা দেখে নিবির বেশ অবাক হয়ে জিঙ্গেস করে।
নিবির :- কান্না করছো কেনো শুভা?
শুভা :- দেখছেন আপনার মা আমাকে কতো অপমান করলো আমি দেখতে শ্যাম বলে। কেনো আমরা কি মানুষ না। আমাদের কি আল্লাহ্ তৈরি করেনি।
নিবির :- আরে ওরা বলবেই এমন । শোনো এটা তোমার এটা চাকরি অভিনয়। এতে মন খারাপের কী আছে। এক দিন গেলেই তুমি ২০ হাজার টাকা পাবে।
শুভা :- তাই বলে কি এই ভাবে মানুষ মানুষকে অপমান করে।
নিবির :- আরে ঠিক হয়ে যাবে সমস্যা নেই। শোনো কাল সকাল বেলা উঠেই রান্না কাজ করবা কিন্তু বলে দিলাম।
শুভা :- ঠিক আছে।
( সবাই ভাবতেছেন কি হচ্ছে এই সব? তবে শুনুন সবাই আসল কাহিনী -- নিবিরেরা ২ বোন এক ভাই। নিবির হলো সবার বড়। আর দুই বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আর তার ছোট হলো কথা যে এখনো পরাশুনা করতেছে।
তো নিবিরের পরাশুনা শেষে এখন চাকরি করতেছে। বেশ কয়েক মাস থেকে তাকে বিয়ে করানোর জন্যে বাসা থেকে চাপ দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু নিবির একটি মেয়েকে ভালোবাসে সে এখন বিদেশে আছে।
তার দেশে আসতে প্রায় ৬/৭ মাস দেরি আছে। তো অতিরিক্ত বিয়ের চাপের কারনে নিবির একটি বুদ্ধি খাটায়। এবং একটি মেয়েকে ভারা করে আনে সে। যেনো এই ৬/৭ মাস বউ হিসেবে নাটক করে।
তো যেই ভাবনা সেই কাজ? অনেক খোজা খুজির পরে শুভা কে খুজে পায়। শুভা ও রাজি হয়ে যায় অনেক টাকা দেখে। যাক এখন গল্পে ফিরি )
নিবির :- শোনো তুমি খাটে শুয়ে পরো। আমি সোপায় শুইতেছি।
শুভা :- না সাহেব সেটা হয়না। আপনি বরং খাটে শুয়ে পরুন আমি সোপায় শুইতেছি।
নিবির :- আরে আরে আমাকে তো সাহেব বলা যাবে না। এখন থেকে তুমি আমার বউ আমি তোমার স্বামী বুঝছো।
শুভা : হুমম বুঝছি।
নিবির :- তুই বা আপনি করে ও কথা বলা যাবে না। তুমি করে কথা বলতে হবে ওকে।
শুভা :- হুম ঠিক আছে।
নিবির :- কালকে কিন্তু আমার ছোট বোন রুহি আসবে ওর পরিবারের সবাই মিলে। তুমি বাহিরে যেও না।
শুভা :- আপনার! ওহ সরি তোমরা কয়ভাই বোন?
নিবির : ২ বোন এক ভাই। আমি সবার বড়। আমার ছোট যে তার বিয়ে হয়েছে। আর তার ছোট এখনো পরাশুনা করতেছে।
শুভা :- ওহ আচ্ছা। তবে তোমার বোন কালকে আসবে?
নিবির : হুমম। এখন ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে। যা যা বলছি তাই করবা কাল।
তো এর পরে শুভা ও নিবির দুজনেই ঘুমিয়ে পরে। পরের দিন সকাল বেলায় শুভা সবার আগে উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘর খুজে বের করে। এবং সবার জন্যে রান্না করতে থাকে।
এরপরে কাজের বুয়া তার সময় মতো রান্না ঘরে এসেই হতোবাক হয়ে যায়। আর এটা দেখে শুভা কাজের মেয়ের সাথে পরিচয় হয় যায়। এরি মাঝে আবার সব রান্না কম্পিলিট হয়।
এরপরে সবাই যখন খাইতে বসে তখন একটি ঘটনা ঘটে যায়।
যখন সবাই এক সঙ্গে খাইতে বসেছে তখন হঠাৎ করেই 'কথা' বলে উঠে।
কথা :- আরে বাহ্ আজ দেখি বুয়ার হাতের রান্না চমৎকার হয়েছে। মন চাচ্ছে সব খাবার একাই খেয়ে ফেলেছি।
তো 'কথার' এই কথা শুনে কথার মা ও প্রসংসা করে বুয়ার। কিন্তু তখন বুয়া বলে উঠে।
বুয়া :- এই রান্না আমার হাতের না? এটা নিবির স্যারের বউ শুভা আপুর হাতের রান্না।
বুয়ার মুখে কথাটি শুনেই কথা ও কথার মা সব খাবার মাটিতে ফেলে দেয় আর বমি করতে থাকে।
বুয়া :- কি হলো আপা? বমি করতেছেন কেনো?
কথা :- (বুয়াকে চর মেরে )! এই কুত্তার বাচ্চা তুই রান্না করিশ নাই কেনো? ওই কালো পেত্নীকে কেনো দিয়েছিস রান্না করতে। ঘৃণা লাগে ওকে দেখলেই আমার।
বুয়া :- আপু আমি দেখি শুভা আপা আমার আগে উঠে রান্নার কাজ শেষ করেছে।
কথা :- সেই কথা আগে বল্লি না কেনো।
বুয়া :- ভুল হয়েছে আমার?
তো এই সব আবার নিবির ও শুভা পাশে থেকে দেখতেছে। মায়ের ও বোনের এমন কাহিনী দেখে কি বলবে নিবির সেটাই খুজে পাচ্ছে না।
তো এর পরে নিবিরের মা ও বোন অনেক কথাই বললো শুভাকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু শুভা কোন প্রতিবাদ করেনি। কারন শুভাকে অভিনয় করার জন্যে আনা হয়েছে। ওরা কি করে করুক সেটা দেখার কোন টাইম নাই।
এরপরে নিবেরের বোনের শশুর বাড়ির লোক সবাই চলে আসে। এটা দেখে সবাই বেশ খুশি হয়। এবং বহু পদের রান্না ও করা শুরু করে দেয়। এর পর অনেক আড্ডা দেয়ার পরে এক পর্যায় সবাই খাইতে বসে।
( তখন পযর্ন্ত কিন্তু কেউ জানে না নিবির বিয়ে করেছে )
সবাই খাইতে বসছে এমন সময় শুভার পেট ভিষন ব্যথা করতে শুরু করে। তবুও কষ্ট করে রুমের ভিতরেই থাকে। কিন্তু যখন নিজেকে আর কন্টল করতে পারতেছিলো না তখন শুভা নিবির কে ডাকার জন্যে রুমের ভিতর থেকে বেরিয়ে নিছে নেমে আসে।
কিন্তু নিছে আসা মাত্রই শুভা গল গল করে বমি করতে থাকে সাবার সামনে । এটা দেখে সবাই মন্তব্য করতে থাকে।
এই সব প্লান করে তৈরি করেছে যাতে আমরা খাইতে না পারি। আপনারা যদি না খাওয়াবেন তবে ডাকলেন কেনো খাওয়ার জন্যে ।
মেহমানের মুখে এই কথাটি শুনেই 'কথা' রুম থেকে একটি লাঠি এনে শুভার__অনেকেই অভিযোগ করেন যে পরের পর্ব খোজে পাচ্ছেন না।
না পাওয়ার কারন হচ্ছে আপনি পেইজে ফলো করেন নাই তাই আমি পোস্ট করার পরেও আপনারা পান না,,আপনাদের সামনে পরে না,,,তাই আমি আবারো বলছি পরের পর্ব গুলো পোস্ট করার সাথে সাথে পেতে
এই পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন 👉 আফরিন জাহান
গল্প:- ব্ল্যাক ডায়মন্ড
পর্ব---১
পরের পর্ব পাওয়ার জন্য ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ❤️