আমার উন্মুক্ত কো*মরের উপর দুলা_ভাই এর নজর❤️🔥
🔰দুলাভাই আমার পে'টে চিমটি দিয়ে বললো " এইযে ছোট্ট শ্যালিকা,উন্মুক্ত কো'মড় বেড় করে শাড়ি পড়েছো দেখে তো বু'ক চিনচিন করছে "
আতঙ্কে ছিঁটকে যাওয়ার মতো করে দূরে সরে দাড়ালাম।হবু দুলাভাইয়ের এরুপ কুরুচিপূর্ণ আচরণে আমি হতভম্ব!তিনি হেসে বললেন
" আরেহ,ভূত দেখে ফেললে নাকি?এতো ভয়ের কি আছে "
আকষ্মিক এমন ঘটনায় রাগে আমার চোখে জল চলে এলো।কঠিন স্বরে বললাম
" আপনি আমার কো'মড়ে হাত দিলেন কোন সাহসে? "
আমার কথায় তিনি যেন বেশ মজা পেলেন।দাঁত বেড় করে হেঁসে বললো " আরেহ তুমি তো বিষয়টা সিরিয়াসলি নিয়ে নিছো। দুলাভাই,শ্যালিকার মধ্যে এইটুকু মজা তো হয়েই থাকে,স্বাভাবিক "
" যা করলেন সেটাকে এইটুকু মজা বলে? "
" সরি,আমি জাস্ট মজা করছি।বুঝিনি তুমি এতোটা রিয়েক্ট করবে "
" শুনুন,ভবিষ্যতে আমার সাথে কখনো এরকম ফাজলামি করবেন না। "
এতটুকু বলে দ্রুত ঘরে চলে আসলাম।দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই পে'টের অংশটা নজরে পড়লো,লাল টকটকে হয়ে আছে।রাগে সারা শরীর ঘিনঘিন করছে।
দরজায় টকটল শব্দ হলো।দরজা খুলতেই দিদি হন্তদন্ত হয়ে বললো
" দরজা লাগায়ে কি করতেছিস তুই?মায়ের ঘরে সবাই অপেক্ষা করছে "
" আমি যাবো না দিদি,ভালো লাগছে না "
দিদি ভ্রু কুঁচকে বললো " চোখ লাল হয়ে আছে কেন?তুই কি কান্না করতেছিলি নাকি? "
প্রথমবারের মতো শারীরিক হেনস্থা হওয়ায় নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না।
" পে'টের কোথায় চিমটি দিছে দেখি "
এক হাতে চোখের জল মুছে আরেক হাতে কাপড় সরিয়ে যায়গাটা দেখালাম।এখনো লাল হয়ে আছে।দিদি দেখে বললো " আরে দুলাভাই হয়ে ছোট শ্যালিকার সাথে এইটুকু মজা করতেই পারে।তাই বলে দরজা আঁটকে কান্না করবি? "
" আমি যথেষ্ট বড় হইছি দিদি "
" সবে নাইনে উঠছিস।বিষয়টাকে গভীর বানিয়ে ফেলিস না।তুই তো জানিস সবর একটু বেশিই ফাজলামো করে।আমি ওকে বলে দিবো তোর সাথে আর মজা করবে না "
সংসারে আমার মা আর আমরা তিন বোন।বাবা গত হয়েছেন যখন আমার বয়স তিন।দিদি এবার অনার্সের ফাইনাল দিবে।মেজো দিদি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।আমি এবার ক্লাস টেনে উঠেছি।সবর ভাইয়ের সাথে বড়দিদির বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।আজ দিদির জন্মদিন তাই সবর ভাই ও এসছে।
ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দিদি আমার কাছে এসে বললো " কিরে তন্দ্রা,তুই তো দেখি দারুণ বেয়া'দব হয়ে গেছিস।এতো করে বললাম তবুও স্বাভাবিক হতে পারছিস না? "
দিদিকে তো বোঝানো সম্ভব না আমার মধ্যে তখন কি চলছিলো।দিদিকে আমরা দুই বোন ভিষণ ভয় পাই।কারন দিদির টিউশনির টাকাতেই সংসার চলে।যতোটা সম্ভব স্বাভাবিক হয়ে দিদির হাতে হাত রেখে
কেক কা"টলাম।সবর ভাই মাঝেমধ্যে আমার দিকে তাকাচ্ছে,সেই তাকানোতে মিশে আছে গভীর প্রতিশোধপরায়নতা।
শুতে যাওয়ার সময় মা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে বললো " শুনেছিস কান্ড,সবর আজ রাত নাকি এখানে থাকবে বলছে "
" সে কি,থাকার যায়গা কোথায় "
" যায়গার কথা পরে।এখনো বিয়ে হয়নি,তার আগেই মেয়ের বাড়িতে থাকবে! লোকে তো কথা বলতে ছারবে না "
" তাহলে দিদিকে বলো ওনাকে বিষয়টা বলতে "
এমন সময় দিদি আমার ঘরে এসে বললো " তন্দ্রা তুই আজ রাতটা আমার সাথে আমার বিছানায় থাকবি।এখানে তোর দুলাভাই থাকবে "
মা দিদির কাছে গিয়ে নীচু স্বরে বললো " বিয়ে এখনো হয়নি,তার আগেই মেয়ের বাড়িতে রাত পার করা কেমন হয়ে যায় না? "
" আকাশ খারাপ,বৃষ্টি হবে হয়তো।আর ও নিজেই বললো রাতটা থাকবে।তারপরেও আমি মুখের ওপর না বলে দিবো নাকি? "
" দেখ যা ভালো বুঝিস "
বাধ্য হয়ে দিদির বিছানার শুলাম।বিশ্রী স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গলো।স্বপ্নে দেখলাম,একটা সাপ আমার পে'টের উপর বসে আছে।
ঘুম ভেঙে চোখ মেলতেই আমার শরীর হীম হয়ে এলো।শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শিহরন বয়ে গেলো।স্পষ্ট দেখলাম একটা ছায়ামূর্তি আমার উপর ঝুঁকে আছে।ছায়ামূর্তির এক হাত আমার পে'টের উপর ......
চলবে?